আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে ইবাদতের বদলে পেশা এবং উপার্জনের হাতিয়ারে পরিণত করে ফেলেছি
“আফালা তাক্বীলুন” – কেন বুদ্ধিকে কাজে লাগাও না?
“আফালা তাফাক্কারুন” – কেন চিন্তাভাবনা করো না?
“আফালা তাদাব্বারুন” – কেন ভাবনায় নিবিষ্ট হও না?
এ প্রশ্নগুলো আল্লাহর। মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির প্রয়োগ যে ইবাদতের অংশ। এ প্রশ্নগুলোর মধ্যে সেটাই প্রতীয়মান।
অথচ আমরা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে ইবাদতের বদলে একধরনের পেশা এবং উপার্জনের হাতিয়ারে পরিণত করে ফেলেছি।
বুদ্ধিজীবী নামে একটি ভিন্ন শ্রেণী তৈরি করে সমাজে কৃত্রিম একটি বিভাজন সৃষ্টি করে নিয়েছি। বুদ্ধিচর্চা এবং ধর্মচর্চা – এই দুটিকে পৃথক শ্রেণীতে বিভক্ত করে নিয়েছি। অথচ এধরনের কোন কৃত্রিম বিভাজন বা বিভক্তি ইসলামে নেই।
ইসলামে বুদ্ধিবৃত্তিতা নারী-পুরুষ সবার জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য। সবার জন্যই সমানভাবে বাধ্যতামূলক। একজন আলেম কিংবা একজন ইমামের মত একজন সাধারন নামাজিকেও নামাযের সুরা-কেরাত সঠিকভাবে শিখতে হয়। সবাইকেই নিজের বুদ্ধিবৃত্তির প্রয়োগ করতে হয়।
একজন মুসলিম যেমন কখনই ইবাদতশূণ্য হয় না।
তেমনি সে কখনই চিন্তাশূণ্য হতে পারে না। এরুপ চিন্তাশূণ্যদের সম্মন্ধে আল্লাহ বলেন, “তাদের হৃদয় আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না; তাদের চক্ষু আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা দর্শন করে না; এবং তাদের কর্ণ আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা শ্রবণ করে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তা অপেক্ষাও অধিক বিভ্রান্ত। তারাই হল গাফিল বা উদাসীন।”